মোঃ ইব্রাহীম সবুজ, সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ডিজিটাল পোস্ট অফিস উদ্যোক্তা ফোরাম।
…………………হাতে গোনা কিছু ডিজিটাল পোস্ট অফিসের উদ্যোক্তারা মাসে হাজার হাজার টাকা আয় করেন। গল্পে হোক আর বাস্তবে হোক কারো কারো আয় হয়তো লাখ টাকাও হতে পারে। কিন্তু সেটা সামগ্রিক বাংলাদেশের চিত্র নয়।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ ডিজিটাল পোস্ট অফিসের উদ্যোক্তারা পোস্ট অফিসের ভবন না থাকায় নিজেদের টাকায় ঘর ভাড়া নিয়ে সাধারন মানুষের কিছু কাজ করে থাকেন। তার উপর সরকার কর্তৃক প্রদত্ত মালামাল প্রায় ব্যবহারের অনুপযুক্ত। সামান্য যা আয় হয় তা থেকে প্রতিষ্ঠানের যাবতিয় সকল খরচের পাশাপশি নতুন মালামালও ক্রয় করতে হয়। তার সাথে আছে সরকারের ২০% রাজস্ব। পোস্ট অফিস পরিবারে যারা থাকেন তারা সবাই কম বেশি বেতন ভাতা পেয়ে থাকেন। সেটা কম হোক আর বেশি হোক, সময়মতো হোক আর বিলম্বে হোক, পূর্ণ অংশ হোক আর কিয়দংশ হোক। কিন্তু ডিজিটাল পোস্ট অফিসের উদ্যোক্তারা? তাদের ভরসা তাদের নিত্যদিনের আয়।
প্রতি বছর দুটি ঈদ আসে কিন্তু তাদের জন্য নয়। ঈদের আগে ও পরে বেশ কয়েকদিন থেকে সকল প্রতিষ্ঠান বন্ধ হওয়ার দরুন তাদের আয়ের কোন কাজ থাকে না।
ডিজিটাল পোস্ট অফিস এখনো বাস্তবিক অর্থে কম্পিউটার প্রশিক্ষনের উপর নির্ভরশীল। যদিও সরকার এখন এজেন্ট ব্যাংকিং সহ নানাবিধ সেবা ডিজিটাল ডাকঘরে যুক্ত করছেন, তাও এখনো উদ্যোক্তাদের হাতে পৌঁছায়নি। সেবাগুলো কবে পুরোপুরি ডিজিটাল পোস্ট অফিসে যুক্ত হবে তা নিয়েও অনিশ্চয়তা রয়েছে। আর যুক্ত হলেও তা সফলতার মুখ দেখবে বলে মনে হয়না। কারণ ওই সেবাগুলো সফল করতে প্রয়োজন বিপুল পরিমাণ নগদ অর্থ। যা উদ্যোক্তাদের কাছে নাই। উদ্যোক্তা নিয়োগের সময় আর্থিক সামর্থের চেয়ে যোগ্যতা আর দক্ষতা বেশি প্রাধান্য পেয়েছে। যার কারণে দক্ষ কিন্তু আর্থিকভাবে পঙ্গু বিপুল পরিমাণ উদ্যোক্তা এখানে নিয়োগ করা হয়।
২০২০ সালে আজ করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতে ডিজিটাল পোস্ট অফিসের উদ্যোক্তাদের কি অবস্থা?
কম্পিউটার প্রশিক্ষনের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় ডিজিটাল পোস্ট অফিস করোনা ভাইরাস সংকটে ২০২০ সালের জন্য বিশাল ক্ষতির সম্মুখিন হয়েছে। কারণ প্রতিটি ডিজিটাল পোস্ট অফিস সারা বছরের আয়ের ৫০%- ৭০% আয় এই সময়ে করে থাকেন। কিন্তু এই সময়টাই পুরো দেশ অচল হয়ে পড়েছে। বাস্তবিক অর্থে সারা বছরের জন্য উদ্যোক্তারা বেকার। উদ্যোক্তাদের আয় যে বন্ধ তারা কি অবস্থায় আছে? তাদের পরিবার কিভাবে চলছে? তাদের ঘরে অসুস্থ মানুষটার চিকিৎসা হচ্ছে কিনা আমাদের কোন উর্ধত্বন কর্মকর্তা খোজ নিয়েছেন? কেউ কি উদ্যোক্তাদের কথা ভেবেছেন? তাদের কাজের কথা কেউ চিন্তা করে কি? তাহলে বলবো তাদের দিকে মানবিক দৃষ্টিতে তাকান। তারাও পোস্ট অফিসের একটা অংশ।
আমরা যদি সবাই মানসিকভাবে তাদের ডিজিটাল পোস্ট অফিসের পরিবারের সদস্য মনে করে পরস্পর আন্তরিকতার সহিত সাহায্যের হাত বাড়ীয়ে দিই তাহলে নিশ্চয়ই তাদের মনোবল বৃদ্ধি পাবে।
এ কথা অস্বীকার করার কোন উপয় নেই যখন পোস্ট অফিস নিয়ে এদেশে ব্যঙ্গ করা হতো, আর জনগনের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা ছিল স্বপ্নের মতো। এই উদ্যোক্তারা ডিজিটাল সেবা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে অগ্রণী ভুমিকা পালন করেছে। সাম্প্রতিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই উদ্যোক্তাদেরকে ডিজিটাল সন্তান হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। যেটা হয়তো উদ্যোক্তাদের সব চেয়ে বড় অর্জন।বাংলাদেশের অনেক অর্জনের সহযোদ্ধা হিসাবে তারা কাজ করে যাচ্ছেন। তারা স্বীকৃতিও পাচ্ছেন। কিন্তু সবচেয়ে বড় চাওয়া আর্থিক নিরাপত্তা। তাদের নিয়ে যারা কাজ করছেন তাদের প্রতি দাবি তাদের আর্থিক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন। কতভাগ উদ্যোক্তা তাদের আয় দিয়ে পরিবারের মৌলিক চাহিদাগুলো পুরোন করতে পারেন? সে সংখ্যা নিশ্চয়ই অতি নগন্য।
শুধু ২০% রাজস্ব আয়ের জন্য মাসের প্রথম সপ্তাহে নয়, ভালো খারাপ প্রতিটা সময়ে উদ্যোক্তাদের খবর নিন। শুধু রাজস্ব আদায় করার জন্য নয়, উদ্যোক্তাদের চুলায় আগুন দেয়ার জন্যও তাদের সাথে যোগাযোগ করুন। না হয় ডিজিটাল পোস্ট অফিস বন্ধ হয়ে যাওয়া সময়ের ব্যপার মাত্র।
যার দেখার কেউ আছে, যার দেখার কেউ নেই,,,,তাকেউ দেখার কেউ আছেন যিনি সবই দেখেন,,,,,তিনি হলেন মহান আল্লাহ তা লা,,,,ধৈর্য ধরেন ফল পাবেন,,,,,আল্লাহ তা লা কাওকে নিরাশ করবেন না,,,,,,অপেক্ষাটা সময়ের,,,,আরকান চৌধুরী,,,উদ্যোক্তা ও পরিচালক আটপাড়া উপজেলা ডিজিটাল পোস্ট অফিস,নেত্রকোনা ২৪০০”
সাহায্যে করুন দয়া করে।
১] আমার মা একজন #পোষ্টমাষ্টার। আমার মা, ই-সেন্টারের উদোক্তা হিসেবে অন্য আর এক জনকে নির্বাচিত করেছে। সে এখন কোনো ট্রেনিং সেন্টার খোলে নি। সে সুধু ল্যাপটপ সহ অন্যান্য জিনিসপত্র ব্যাবহার করে নিজের প্রয়োজনে। কিন্তু ব্যাবস্যা করে না। মা চাচ্ছে তার কাছ থেকে সকল জিনিস পত্র নিতে। কিন্তু সে দিচ্ছে না। সে বলছে, জিনিসপত্র নেওয়ার সময় সে মূল অফিসারের সামনে যেমন ৩০০টাকার স্টাম্পে সাইন করে নিয়েছিল তেমনি ভাবেই তার কাছ থেকে জিনিস পত্র নিতে হলে অফিসারের সামনে স্টাম্পে সাক্ষর করে নিতে হবে। এখন তার কাছ থেকে কিভাবে জিনিস পত্র নিবে।
২] মা চাচ্ছে পুরানো উদোক্তাকে বাদ দিয়ে আমাকে উদোক্তা করতে। এখন আমি উদোক্তা যদি হই তাহলে আমি ট্রেনিং সেন্টার খুলতে চাচ্ছি। কিভাবে খুলব। আর স্টুডেন্টদের সরকারি সার্টিফিকেট কিভাবে প্রদান করব। অথ্যাৎ সাটিফিকেট কোথা থেকে এন দেব। সবাই তো সরকারি সার্টিফিকেট চাইবে।
দয়া করে সাহায্যে করুন। খুবই উপকৃত হতাম।