সদ্য সংবাদঃ-
    নড়াইলের জমজম রেষ্টুরেন্টের উপর তলার নির্মাণাধীন ভবন থেকে ভিক্টোরিয়া কলেজ শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার নড়াইলে পিঠে ছুরিবিদ্ধ কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ নড়াইল সদর উপজেলা নির্বাচনে আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী আজিজুর রহমান ভূঁইয়াকে জরিমানা নড়াইলে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু রাকিবের ফলাফল দেখা হলো না আজ নড়াইলের লোহাগড়ায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত শিক্ষকের মৃত্যু নড়াইলে চিত্রায় গোসলে নেমে নিখোঁজ মাদ্রাসা ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার বসুন্দিয়ায় ভৈরব নদী থেকে অভয়নগরের নিখোঁজ ইজিবাইক চালক ইমনের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার ভোলা লালমোহনে বীজ ও সার পেলেন ক্ষুদ্র- প্রান্তিক কৃষকেরা কালিয়া পৌরসভার কর্মকর্তা কর্মচারি বেতন ভাতার দাবীতে কর্মবিরতি পালন

    জাতীয় পরিচয়পত্রের সবকিছু এখন অনলাইনে

    • আপডেট সময় : বৃহস্পতিবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৯

    এখন থেকে অনলাইনেই জাতীয় পরিচয়পত্রের যাবতীয় কাজ সম্পন্ন করা যাবে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংশোধন, নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন আবেদন, হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া পরিচয়পত্র নতুন করে তোলা, ছবি বা স্বাক্ষর পরিবর্তনের আবেদন সবকিছু হবে এখন এক ক্লিকেই। নির্বাচন কমিশনের services.nidw.gov.bd এই ওয়েবসাইটে গিয়ে এখন ঘরে বসেই সবকিছু করতে পারবেন ইন্টারনেট ব্যবহারকারিরা। পাশপাশি বিদ্যমান প্রক্রিয়াও অব্যাহত থাকবে। যে সব সেবা পাওয়া যাবে…১. নতুন ভোটার হিসেবে নিবন্ধন আবেদন২. নিবন্ধনের মাধ্যমে নিজের হিসাব খোলা৩. নিজস্ব তথ্য ও ভোটার কেন্দ্রের তথ্য৪. তথ্য পরিবর্তন, সংশোধন ও হালনাগাদ৫. ছবি পরিবর্তন৬. হারিয়ে যাওয়া বা নষ্ট হওয়া জাতীয় পরিচয়পত্র

    জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে পুনরায় তোলার জন্য প্রকল্প পরিচালক, পিইআরপি, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় বরাবর আবেদন করতে হবে। আর এ আবেদন সরাসরি প্রকল্প অফিসে করা যাবে অথবা ওই ব্যক্তির নির্দিষ্ট উপজেলা বা জেলা নির্বাচন কমিশন কর্মকর্তার কার্যালয়ে করা যাবে। নির্বাচন কমিশনের সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ে নির্ধারিত আবেদনপত্র বিনামূল্যে পাওয়া যাবে।

    আবেদনপত্রে আপনার পূর্ণনাম, পরিচয়পত্রের নম্বর ১৩ অথবা ১২ সংখ্যায় ভোটার নম্বর উল্লেখ করতে হবে। যদি পরিচয়পত্র নম্বর না থাকে, তবে ভোটার নম্বর দিতে হবে। এই নম্বর পাওয়া যাবে জেলা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে। তবে পরিচয়পত্র হারিয়ে গেলে প্রথমে আপনাকে স্থানীয় বা নিকটবর্তী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে হবে।

    ডায়েরির কপি, পূরণকৃত আবেদনপত্র (নিজে স্বাক্ষরিত), যোগাযোগের ঠিকানা ও ফোন নম্বরসহ আবেদনপত্রটি সরাসরি প্রকল্প পরিচালকের কার্যালয় বা জেলা/উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা দিতে হবে। জমা দেওয়ার দিন সংশ্লিষ্ট কার্যালয় থেকে প্রাপ্তি রসিদ (হারানো) দেবে এবং ওই রসিদ নিয়ে নির্ধারিত তারিখে আপনি আপনার পরিচয়পত্র হাতে পাবেন। সাধারণত আবেদনের ৩৯ কার্যদিবসের মধ্যে নতুন পরিচয়পত্র সরবরাহ করা হয়। তবে মনে রাখতে হবে যেদিন আপনার পরিচয়পত্র দেওয়ার কথা, এর পাঁচ দিনের মধ্যে সংগ্রহ না করলে আপনি আবারও ঝামেলায় পড়ে যেতে পারেন। এ-সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ সংশ্লিষ্ট কার্যালয়গুলো বিনা খরচে করে দেবে। তাই কারও সঙ্গে কোনো আর্থিক লেনদেন করবেন না।

    জাতীয় পরিচয়পত্রে দুই ধরনের ভুল থাকতে পারে। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক ইস্যুকৃত পরিচয়পত্রে যে দুই ধরনের সংশোধনী হচ্ছে, তা হলো- ছাপা-সংক্রান্ত ভুল ও তথ্যের পরিবর্তন। ছাপা সংক্রান্ত ভুলগুলো খুব সহজভাবেই সমাধান করা যায়। এ জন্য আবেদন করতে হয় প্রকল্প পরিচালক বরাবর। নির্ধারিত আবেদন ফরম সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কমিশন অফিসে পাওয়া যায়।

    সংগৃহীত আবেদনপত্রটিতে পরিচয়পত্র নম্বর, ভুল তথ্য ও সংশোধিত তথ্য উল্লেখ করার জন্য নির্ধারিত ঘর রয়েছে। আবেদনপত্রের নিচে স্বাক্ষর, নাম, ঠিকানা ও ফোন নম্বর লিখতে হবে। আবেদনপত্রের আগের ভুল তথ্যসংবলিত ভোটার পরিচয়পত্রটি সংযুক্ত করে দিতে হবে। কারণ কমিশন আপনাকে নতুন করে পরিচয়পত্র প্রদান করবে। তথ্য পরিবর্তনের জন্য আপনাকে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশোধিত তথ্যের পক্ষে প্রামাণিক দলিল দিতে হবে।

    জন্ম তারিখ সংশোধন করতে চাইলে এসএসসি/সমমান পরীক্ষার সনদপত্রের সত্যায়িত কপি সঙ্গে জমা দিতে হবে। তবে প্রার্থীর শিক্ষাগত যোগ্যতা যদি এসএসসির কম হয়, তবে পরিচয়পত্রের আগে ব্যবহৃত কোনো প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। যেমন- পাসপোর্ট, জন্মনিবন্ধন সনদ, নিকাহনামা প্রভৃতি।

    -নাম সংশোধন করতে চাইলে তাকে কোর্টের মাধ্যমে নাম এফিডেভিট করত হবে এবং সংবাদপত্রে বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে। বিজ্ঞপ্তিতে পরিচয়পত্রে ব্যবহৃত নাম, ঠিকানা ও প্রকৃত নাম উল্লেখ করতে হবে এবং এর সঙ্গে অন্যান্য কাগজপত্র জমা দিতে হবে।

    -যাঁরা বিয়ের পর বাবার নামের বদলে স্বামীর নাম লিখতে চান, তাঁদের আবেদনের সঙ্গে কাবিননামা ও স্বামীর জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে।

    -স্বামীর নাম বাদ দিয়ে বাবার নাম বসাতে চাইলে প্রামাণিক দলিল হিসেবে তালাকনামা ও বাবার জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

    -কারও পরিচয়পত্রে মায়ের নাম ভুল থাকলে তা সংশোধনের জন্য মা ও বাবা উভয়ের জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত কপি আবেদনের সঙ্গে জমা দিতে হবে।

    পরিচয়পত্র সংশোধনের আবেদন পাওয়ার ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে সংশোধিত নতুন পরিচয়পত্র প্রদান করা হয়। তবে সংশোধনের জন্য আবেদনের সঙ্গে দেওয়া প্রমাণপত্র যথাযথ না হলে সেগুলো তদন্ত করে সঠিক প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী সময়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

    মনে রাখতে হবে, আপনি আপনার আবেদন নির্বাচন কমিশনের যে কার্যালয়ে জমা দেবেন, ঠিক সেখান থেকেই তা সংগ্রহ করতে হবে। তবে হারানো জাতীয় পরিচয়পত্র পুনরায় পাওয়া অথবা সংশোধনের যাবতীয় কাজ আপনি চাইলে সরাসরি নির্বাচন কমিশনের প্রকল্প অফিসে করতে পারবেন। উভয় ক্ষেত্রে যে নতুন পরিচয়পত্র দেওয়া হয়, তা প্রার্থীকে নিজে এসে অথবা প্রাপ্তি রসিদে অন্য কাউকে উত্তোলনের যথাযথ অনুমতি দিলে তিনিও তা তুলতে পারবেন।

    এ-সংক্রান্ত যেকোনো তথ্যের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন আপনার জেলা/উপজেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অথবা ছবিসহ ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও জাতীয় পরিচয়পত্র সহায়তা প্রদান প্রকল্প, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়, আগারগাঁও, ঢাকা।

    Share This Post in Your Social Media

    Comments are closed.

    More News Of This Category
    All rights reserved © Tech Business Development Ltd.
    Support BY TechITBD
    error: Content is protected !!