সামুদ্রিক ৬৫ দিনের অভিযানে হতাশ দৌলতখানের জেলেরা

    • আপডেট সময় : রবিবার, ১৪ জুন, ২০২০

    রোহান রাশেদ, দৌলতখান প্রতিনিধীঃ

    সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নের স্বার্থে ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় সব ধরনের মাছ ধরার ওপর আগামী ৬৫ দিনের জন্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে সরকার। তবে ভোলা জেলার দৌলতখান উপজেলার জেলেদের নিয়ে পরিকল্পিত পুনর্বাসনের কোনো উদ্যোগ না থাকায় হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে মৎসজীবীদের মাঝে। উপার্জন হীন মৎসজীবীরা মনে করছেন দীর্ঘ বিরতিতে দেখা দেবে বিপর্যয়। রোজগার না থাকায় অনেকেই জড়িয়ে পরবেন অপকর্মে।

    চড়া সুধে এনজিও ও ব্যাংক থেকে নেয়া ঋণের বোঝা হবে ভারী। প্রত্যাহিক জীবনে দেখা দেবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যতা। তাদের মধ্যে অনেকে নিশ্চিত করে জানেন না প্রায় আড়াই মাস জাল আর বোট থেকে থাকতে হবে দূরে। যারা জানেন তারা প্রত্যাহিক জীবন নিয়ে পরেছেন শঙ্কায়। আড়ৎদার ও জেলেরা জানান, সরকারের পরিকল্পিত কোনো উদ্যোগ না থাকায় উপার্জনহীন হয়ে পড়ছেন কয়েকশো জেলে। অনেকেই ধারণা করছেন সুধের ও দাদনের টাকার বোঝা আর বেকারত্বের অভিশাপ মাথায় নিয়ে জেলেরা জড়িয়ে পড়তে পারে অপরাধ জগতে। ঈদ আনন্দ তো বহুদূর ক্ষুধা নিবারণের উপায় খুঁজে পাচ্ছে না অনেকেই। এতে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে মৎসজীবীদের মাঝে।

    সরকারের কাছেও বিভিন্ন দাবি তুলছেন তারা। দৌলতখান উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. মাহফুজ হাছনাইন জানান, নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর মৎস্য আহরণ শুরু হলে লাভবান হবে মৎসজীবীরাই। নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন সরকারের ভিজিএফ দেয়ার পরিকল্পনা আছে। এবং এরই মধ্য পত্যেক জেলেদের জন্য ৬৫ কেজি করে চাল ইতিমধ্যে বরাদ্দ হয়েছে। মৎস্যজীবীরা মনে করছেন সমুদ্রে মৎস্য আহরণে নিষেধাজ্ঞা থাকার ফলে ভারতের জেলেরা বাংলাদেশের সমুদ্রসীমায় ঢুকে তাদের মৎস্য সম্পদ আহরণ করে নিয়ে যেতে পারে।

    তবে তাদের দাবি যথা সময়ে তাদের বরাদ্দ কৃত চাল বিতরন করার জন্য সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানিয়েছেন।

    Share This Post in Your Social Media

    Comments are closed.

    More News Of This Category
    All rights reserved © Tech Business Development Ltd.
    Support BY TechITBD
    error: Content is protected !!