এম. মিজানুর রহমান লিটন, যশোর প্রতিনিধি : যশোর সদরের বসুন্দিয়ায় আবাসিক এলাকায় চুন তৈরির কারখানার বিরূপ প্রভাবে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পার্শবর্তি অধিবাসীরা। ক্ষতিকারক বিভিন্ন দিক তুলে ধরে এলাবাসীর গণস্বাক্ষর সম্বলিত অভিযোগপত্র বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে ডাকযোগে প্রেরণ।
অভিযোগপত্রে এলাকাবাসী উল্লেখ করেন ‘বসুন্দিয়া চুন ফ্যাক্টরী’ এবং আরও একটি চুন তৈরির কারখানা দীর্ঘদিন ধরে সচল থেকে শামুক পুড়িয়ে চুন তৈরি করে আসছে। এর মধ্যে ‘বসুন্দিয়া চুন ফ্যাক্টরী’ নামক কারখানাটি আবাসিক এলাকার সন্নিকটে। এই চুন ফ্যাক্টরী’র নিকটেই রয়েছে পূর্ব বসুন্দিয়া মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ১০০নং পূর্ব বসুন্দিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, একটি ফুরকানিয়া মাদ্রাসা, মক্তব ও একটি ঈদগাহ সংলগ্ন দ্বিতল ভবনের জামে মসজিদ।
জগন্নাথপুর ও বসুন্দিয়া শেখপাড়া এলাকার সচেতন ও ভূক্তভোগী মানুষের অভিযোগ, কারখানায় স্তুপকৃত কাঁচা শামুক পঁচার দূর্গন্ধ, শামুক পোঁড়ানোর সৃষ্ট বিষাক্ত ধোয়া এবং গ্যাস বৃদ্ধ-শিশু ও বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের অসুস্থ্যতার একটি বড় কারণ। প্রতিনিয়ত বায়ু দূষণের মাধ্যমে দিন দিন স্বাস্থ্য ঝুঁকি বেড়েই চলেছে। তবুও প্ররিত্রাণের পথ খুঁজে পাচ্ছে না স্থানীয়রা। এলাকাবাসী আরও জানায়, সমস্যা লাঘবের জন্য একাধিকবার ফ্যাক্টরী মালিকদের সরণাপন্ন হলেও তাতে কেউ ভ্রæক্ষেপ করেনি। এব্যাপারে প্রশাসন ও সরকারি কোন দপ্তরের আইননানুগ হস্তক্ষেপ এখনও লক্ষণীয় হয়নি। উৎকণ্ঠা আর স্বাস্থ্য ঝুঁকি নিয়েই তাদের বাস করতে হচ্ছে।
জানা যায়, অভিযুক্ত ‘বসুন্দিয়া চুন ফ্যাক্টরী’টি নিয়মিত সন্ধ্যার পরপরই শামুক পোঁড়ানোসহ চুন তৈরির কাজ শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত চলে। এতে পথচারী, আবাসিক জনপদের মানুষ সহ সকলেই আতংকিত ও ক্ষুদ্ধ। সমস্যা লাঘব করতে এলাকাবাসী কারখানা কর্তৃপক্ষকে রাত ১০টার পর ফ্যাক্টরীর কার্যক্রম শুরুর অনুরোধ করলেও বসুন্দিয়া-জগন্নাথপুর প্রৌঢ় বটতলা সংলগ্ন কারখানা কর্তৃপক্ষ বিষয়টি আমলে নিলেও ‘বসুন্দিয়া চুন ফ্যাক্টরী’ তাদের কথায় কোন কর্ণপাত ও পরিবেশের ভালো-মন্দের তোয়াক্কা করছেনা। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে যশোর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, কোতয়ালী থানা নির্বাহী কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তর, বসুন্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ করে পরিবেশ রক্ষার জন্য সুদৃষ্টি কামনা করছে অভিযোগকারী এলাকাবাসী।