প্রদীপ দেবনাথ, উজিরপুর উপজেলা প্রতিনিধিঃ
বরিশালের উজিরপুরে মোবাইলে অশ্লীল ভিডিও দেখিয়ে ও ছুরিকাঘাতের হুমকি দিয়ে চতুর্থ শ্রেণির এক শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার দিবাগত রাতে ওই শিশু শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে জালাল হাওলাদার (৩০) নামের এক জেলেকে অভিযুক্ত করে উজিরপুর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেছেন। উল্লেখ্য যে, বুধবার (১৯ মে) দুপুরে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণে ধর্ষক জালালের বিচারের দাবিতে পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ড হানুয়া বারপাইকা গ্রামে বিক্ষোভ মিছিল করেছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
বিকেলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে উজিরপুর উপজেলার গুঠিয়া ইউনিয়নের দাসেরহাট খেয়াঘাট থেকে ধর্ষক জালাল হাওলাদারকে গ্রেপ্তার করে। জানা যায় ধর্ষক জালাল চার সন্তানের জনক এবং পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ড হানুয়া বারপাইকা গ্রামের জয়নাল হাওলাদারের ছেলে ।
পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার (১৮ মে) বেলা ১১টার দিকে পানি খাওয়ার অযুহাতে ধর্ষক জালাল পৌর সদরের ৭নং ওয়ার্ড হানুয়া বারপাইকা গ্রামের ওই শিশু শিক্ষার্থীর বসতঘরে ঢুকে। এসময় ঘরে কেউ না থাকার সুযোগে ওই শিশু কন্যাকে জালাল তার মোবাইল ফোনের অশ্লীল ভিডিও দেখায়। এতে বিরক্ত হয়ে ওই শিশু শিক্ষার্থী চিৎকার দেয়ার চেষ্টা করলে অভিযুক্ত জালাল তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে খুনের ভয় দেখিয়ে শিশুটিকে ধর্ষণ করে।
ভুক্তভোগী শিশুর মা জানিয়েছেন, তার স্বামী নির্মাণ শ্রমিকের এবং নিজে অন্যের বাড়ীতে গৃহপরিচারিকার কাজ করে অনেক কষ্টে সংসার চালিয়ে আসছেন। সন্তানদের নিয়ে সরকারের দেওয়া ভূমিহীনের প্রাপ্ত জমিতে তারা বসবাস করছেন। দীর্ঘদিন ধরেই অভিযুক্ত জালাল নানান অজুহাতে তাদের ঘরে আসা-যাওয়া করতেন। ঘটনার দিন সকালে তার স্বামী রান্নাঘরের টিন ক্রয় করতে বাজারে গিয়েছিলেন এবং তিনি গৃহপরিচারিকার কাজে অন্যের বাড়িতে ছিলেন। এই সুযোগে ধর্ষক জালাল তার মেয়েকে ধর্ষণ করে।
মামলার বাদী ওই শিশু শিক্ষার্থীর বাবা জানান, বুধবার সকালে পৌনে ১১টার দিকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে ধর্ষক জালাল ফোন করে ঘরে কেউ না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়। এরপরই ঘরে ঢুকে তার শিশু কন্যাকে ধর্ষণ করে।
এ বিষয়ে উজিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জিয়াউল আহসান বৃহস্পতিবার (২০ মে) দুপুরে জানিয়েছেন, শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণে অভিযুক্ত জালালকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। একই সাথে ধর্ষিতা শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ধর্ষণের শাস্তি মৃত্যুদন্ড করা উচিৎ।