এম. মিজানুর রহমান লিটন, যশোর প্রতিনিধিঃ আজ ২৫/০৮/২০ মঙ্গলবার সকাল ১২ টার দিকে অভয়নগর থানার প্রেমবাগ ইউনিয়নের মাগুরা বাজারে একটি প্রাইভেট কারে এসে অভিনব কায়দায় ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে কয়েক ব্যবসায়ীকে জরিমানা। জরিমানার টাকা বিকাশে পরিশোধের কথা বললে উক্ত বাজারের কয়েকজন সচেতন তাদের সন্দেহ করে পরিচয় জানতে চাইলে তারা খুব রাগান্নিত হয়ে প্রসাশনের ভয় দেখিয়ে স্ঞান ত্যাগ করে। ঐই মুহুর্তে বাজারের সচেতন মহল অভয়নগর নির্বাহী কর্মকর্তার স্বরনাপন্ন হলে নির্বাহী অফিসার তাদের আটকে রাখতে বলে, ততক্ষনে তারা মনিরাপুর থানাধিন ঢাকুরিয়া পর্যন্ত চলে যায়। ঢাকুরিয়া বাজারের কিছু সচেতন ব্যাক্তি এবং মাগুরা বাজারের কিছু ব্যাক্তির সম্বন্নয়ে তাদের গাড়ী আটকাতে মোটর সাইকেল আড় করে দিয়ে ঘিরে ফেলে। গাড়ী থেকে ৩ জন পুরুষ (৪০/৪২) এবং ১ জন মহিলা (২৫) বের হন। আটক করা ব্যাক্তিদের খুবই উচ্চস্বরে হুমকি ধামকি দেন, এক পর্যায়ে তাদের ঢাকুরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে আটকে রাখা হয়। ৪/৫ ঘন্টা আটকে রাখার পর ঢাকুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান জনাব এরশাদ আলী প্রয়োজনীয় কার্যসম্পাদন করে মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট হস্তান্তর করে, মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অভয়নগর থানায় আটককৃত দের হস্তান্তর করেন।
এর আগে গত ২৩/০৮/২০২০ তারিখ প্রেমবাগ বাজরের ২টি হোটেল থেকে বাসি পচা খাবার সরবরাহ করার দায়ে ৪ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। চেংগুটিয়া বাজারে মিষ্টির দোকানে মেয়াদ উত্তীর্নের কথা বলে ২ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এবং আজ ২৫/৮/২০ তারিখে মাগুরা বাজারে বাদল রাইস মিলে এবং মনোয়ারা রাইস মিলে বিভিন্ন ফাঁক ফোকড় দেখিয়ে ১০/১৫ হাজার টাকা জরিমানা করে।
সবশেষ মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা,ঢাকুরিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তাদের নানা ভাবে জেরা করেন। এবং বেশ কিছু তথ্য উৎঘাটন করে। তারা নিজেদের সাংবাদিকও দাবি করেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা অভয়নগর থানার আওতায় রয়েছেন।