পিরোজপুরে কাঁচা ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

    • আপডেট সময় : বুধবার, ৩ জুন, ২০২০

     পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার টিকিকাটা মাদ্রাসা–সংলগ্ন সড়ক জোয়ারের পানিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আজ বৃহস্পতিবার সকালে সড়কটি পরিদর্শন করেন ইউএনও ঊর্মি ভৌমিক। পিরোজপুরে ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও জোয়ারের পানিতে কাঁচা ঘরবাড়ি, বেড়িবাঁধ ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর বাতাসের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে নদ–নদীর পানি বাড়তে শুরু করে। পানির উচ্চতা স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পাঁচ থেকে ছয় ফুট বেশি হওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। জেলার শতাধিক গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গতকাল সকাল থেকে পিরোজপুরের নদ–নদীগুলোতে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। সকালে জোয়ারের পানির চাপে মঠবাড়িয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলার মাঝের চরের বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয় ও ফসলের খেত প্লাবিত হয়। সন্ধ্যায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে জেলার শতাধিক গ্রাম প্লাবিত হয়। রাত নয়টার দিকে প্রবল বাতাসে জোয়ারের পানিতে মঠবাড়িয়া ও ইন্দুরকানী উপজেলার খেতাছিড়া গ্রামের বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থান ভেঙে পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এতে গ্রামের শতাধিক কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়। জোয়েরের পানি পাকা সড়ক উপচে লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় বেশ কিছু সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এদিকে বাতাসের তোড়ে অসংখ্য গাছপালা ভেঙে গেছে এবং কিছু গাছ ঘরের ওপর পড়ায় সেগুলো বিধ্বস্ত হয়েছে। মঠবাড়িয়া উপজেলার খেতাছিড়া গ্রামের রাজা মিয়া বলেন, গতকাল সন্ধ্যার পর বাতাস ও জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। রাত নয়টার পর থেকে খেতাছিড়া গ্রামের পাঁচ থেকে ছয়টি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে। এতে তাঁর বাড়ি চার থেকে পাঁচ ফুট পানিতে ডুবে যায়। উপজেলার মাঝের চরের বাসিন্দা কবির হোসেন বলেন, রাতে মাঝের চর সাত থেকে আট ফুট পানিতে প্লাবিত হয়। চরের বেশির ভাগ ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কয়েক শ হাঁস–মুরগি ভেসে গেছে। পিরোজপুর সদর উপজেলার গাজীপুর গ্রামের হাসিব খান বলেন, ‘বাতাসে আমাদের ঘরের চালের টিন উড়িয়ে নিয়ে গেছে। গ্রামের অনেক কাঁচা ঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গাছপালা ভেঙে গেছে। ইন্দুরকানি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হোসাইন মোহাম্মদ আলম মুজাহিদ বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কাঁচা ঘরবাড়ি, গাছপালা, রবি শস্যের খেত, আউশের বীজতলা ও কলাবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঊর্মি ভৌমিক আজ বৃহস্পতিবার ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত কয়েকটি গ্রাম পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে কাঁচা ঘর, রবিশস্য, সড়ক ও বেড়িবাঁধের ক্ষতি হয়েছে। জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ে অনেক গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের পিরোজপুর কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাশ বলেন, মঠবাড়িয়া উপজেলার বড়মাছুয়া, খেতাছিড়া, কচুবাড়িয়া, মিরুখালী ও রাজারহাটে ও ইন্দুরকানী উপজেলা বালিপাড়া,চন্ডিপুর,খোলপটুয়া, কলারন বেড়িবাঁধ ও বাঁধের ঢালের কিছু ক্ষতি হয়েছে। খেতাছিড়া গ্রামে ৩৯ থেকে ৪৫ মিটার বাঁধ ভেঙে গেছে

    Share This Post in Your Social Media

    Comments are closed.

    More News Of This Category
    All rights reserved © Tech Business Development Ltd.
    Support BY TechITBD
    error: Content is protected !!