মো: হাসিবুর রহমান, উপজেলা প্রতিনিধি,কালিয়াঃ নড়াইলের নড়াগাতি থানার এস আই মাসুদুর রহমানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে সাধারন মানুষ। কারো সাথে কথায় না মিললে প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দিচ্ছে এমনকি মহিলাদের সাথে খারাপ আচারন সহ বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি নড়াগাতি থানার অন্তগত চরডুমুরিয়া গ্রামে অভিলাস বিশ্বাস ও ডাবলু শেখের মধ্যে ঝামেলা হয়। তাৎক্ষনিক সংশ্লিষ্ঠ ওয়ার্ডের মেম্বর মিজানুর রহমান সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিরা ঝামেলা মিমাংসা করার উদ্যেশ্যে দু’পক্ষকে নিয়ে বসেন। এ সময় এস আই মাসুদ ঘটনাস্থলে আসেন। পরে মেম্বর সহ সকলে মিঠিয়ে দেওয়ার কথা বললে তিনি চলে যান। পরবর্তিতে গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা বিষয়টি মিমাংসা করে দেন। কিন্তু যারা মিমাংসা করেছে তাদের নামে প্রসিকিউশন দিয়ে আদালতের কাঠগড়ায় দাড় করিয়ে দিয়েছেন ঐ এস আই মাসুদুর রহমান। প্রসিকিউশনের ৭ জনের একজন ঐ এলাকার নান্নু শেখ সে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে, ঘটনার সাথে কোনরকম সম্পৃক্ততা না থাকলেও তাকেও ছাড় দেয়নি ঐ এস আই। পশ্চিম ডুমুরিয়ায় ছাগলে ফসল খেয়ে ফেলাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয় এক সমাজসেবী মহিলা দু’পক্ষের কথা শুনে মীমাংসা করার কথা বললে এস এই মহিলার উপর রেগে যান এবং তার সাথে দুরব্যবহার করে শেখান থেকে তাড়িয়ে দেন। যোগানিয়া বাজারের বালু ব্যবসায়ী জসিমকে তার বালুর গাড়িতে সরকারি গাছ বহন করতে বললে জসিম লেবারদের টাকার কথা বলায়, সরকারি কোন কাজে লেবারদের টাকা দেওয়া হয় না বলে জানান ওই এসআই। জসিম টাকা চাওয়ায় পরবর্তীতে জসিমের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে প্রসিকিউশন দিয়ে তাকেও আদালতের কাঠগড়ায় দাড় করিয়েছেন।
এছাড়া কলাবাড়িয়া বাজারের এক চায়ের দোকানী মধ্যরাতে দোকান বন্ধ করে চলে যাওয়ার সময় তাকে আবার দোকানে এনে ফলমুল সহ বিভিন্ন খাবার খায় এবং পুনরায় তাকে চা জালিয়ে খাওয়াতে বলে কিন্তু সবকিছু বন্ধ করে দেওযার কারনে সে চা খাওয়াতে অস্বীকার করলে তার দোকানের সামনের চাল সরকারী রাস্তার উপর চলে গেছে আভিযোগ করে ভেঙ্গ ফেলার হুমকি দেয়। এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে।
এ বিষয়ে এস আই মাসুদুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, চর ডুমুরিয়ার ঝামেলা তারা মিমাংসা করেছে কিন্তু তারা মিমাংসার বিষয়টি আমাকে জানায়নি তাই তাদের বিরুদ্ধে প্রসিকিউশন দিয়েছি। প্রসিকিউশনে দেওয়া নান্নু শেখের কথা জানালে বলেন আমার খাতায় যে নাম ছিল তাই দিয়েছি কিন্তু সে অসুস্থ বা মৃত্যুর সাথে লড়ছে তা আমি জানতাম না। এ সময় মহিলার সাথে খারাপ ব্যবহার সহ অন্য ঘটনা তিনি এড়িয়ে যান।
নড়াগাতি থানার অফিসার ইনচার্জ রোকসানা খাতুন বলেন, বিষয়গুলো আপনাদের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।