খন্দকার সাইফুল নড়াইলঃ ২য় ধাপে ইউপি নির্বাচনে নড়াইল সদরের ১৩ টি
ইউনিয়নের জন্য আ.লীগের দলীয় মনোনয়ন জমা শেষ হয়েছে। মোট ১১২ জন
প্রার্থী দলীয় কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহ করে তা জমা দিয়েছেন।
এর মধ্যে শাহাবাদ ইউনিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ১৩ জন মনোনয়ন সংগ্রহ
করেছেন। রবিবার বিকালে জেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় মনোনয়ন
যাচাই বাছাই করা হয়।
গত ৩ অক্টোবর সারাদিন জেলা আওয়ামীলীগ কার্যালয়ে দপ্তর সম্পাদক খশরুর
আলম পলাশ মনোনয়ন গ্রহন করেন। সদরের সবচেয়ে কাছের শাহাবাদ
ইউনিয়নেই ১৩ প্রার্থী আ.লীগের প্রার্থী মনোনয়ন সংগ্রহ করেছেন।
সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান রয়েছেন মনোনয়ন দৌড়ে। বর্তমান
চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না ২০১৬ সালের নির্বাচনে বিদ্রোহী
প্রার্থী হিসেবে ৮৪৯ ভোটের ব্যবধানে চিতেছিলেন। নিজের ভোটটা
অবশ্য শেষ মুহুর্তে নৌকা প্রতীকে প্রদান করেছিলেন আওয়ামীলীগের ভক্ত এই
নেতা। এই নিয়ে সেসময় সারাদেশে আলোড়ন তুলেছিলেন তিনি। এছাড়াও
মনোনয়ন দৌড়ে রয়েছেন সাবেক চেয়ারম্যান মাহাবুব রহমান বাচ্চু,ছাত্রনেতা মনিরুজ্জামান রোজ, ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি খান
আশরাফ মাহমুদ সহ ১৩ জন।
এছাড়া আউড়িয়া তে ১২ জন,কলোড়া,তুলারামপুর ও বাশগ্রামে ১১ জন করে
,মাইজপাড়ায় ৯ জন,ভদ্রবিলায় ৮ জন, হবখালি,শেখহাটি,শিংগাসোলপুর,ও
বিছালীতে ৭ জন করে,চন্ডিবরপুরে ৫ ও মুলিয়াতে ৪ জন।
মনোনয়ন প্রত্যাশী শাহাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন পান্না
বলেন,জনপ্রিয়তা বিচার না করেই গতবার দলীয় মনোনয়ন দেয়া
হয়েছিল,আমি চেয়ারম্যান হিসেবে যথেষ্ট সুনামের সাথেই ইউপি এবং
দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেছি,আমি বিদ্রোহী নাম ঘুচাতে চাই।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক নিজামউদ্দিন খান নিলু বলেন,এবারে
তৃনমূল থেকে কোন নির্বাচন হয়নি,যারা নির্বাচনে আগ্রহী তারাই
ফরম পূরন করে জমা দিয়েছে,আমরা সকলের নামই এখান থেকে কেন্দ্রে
পাঠিয়েছি।
আওয়ামীলীগ সূত্রে জানা গেছে,গত ৫ বছর ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে
সুনামের সাথে যারা ইউনিয়ন ও দলীয় কর্মকান্ড পরিচালনা করেছেন তারাই
মনোনয়ন পাবেন।২য় দফায় আগামী ১১ নভেম্বর নড়াইল সদর উপজেলার ১৩ ইউনিয়নে নির্বাচন
অনুষ্ঠিত হবে।