নড়াইল প্রতিনিধি খন্দকার সাইফুলঃ নড়াইলে প্রস্তাবিত ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের নামে অধিগ্রহনকৃত জমির মূল্য বাজার মূল্যে পরিশোধের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় নড়াইল প্রেসক্লাবের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মোঃ ফরিদুল ইসলাম।
এ সময় ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিক বাদশা সরদার, প্রশান্ত মল্লিক, শ্রীবাস মিত্র, মোঃ রাদেুল হাসান, নাজমুল হুসাইনসহ ক্ষতিগ্রস্থ জমির মালিকগনসহ
প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। লিখিত বক্তব্যে বলেন, নড়াইলের শহরতলি মালিবাগ এলাকায় ‘প্রকৌশলী খান হাতেম
আলীর নামে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ’ প্রতিষ্ঠিত হবে, সেজন্য আমরা সবাই খুশি। এজন্য নড়াইল সদর উপজেলার ৪নং আউড়িয়া ইউনিয়নের ৫নং বোড়াবাদুরিয়া ও ৫১নং সীমাখালী মৌজায় ৮ একর জমি অধিগ্রহন করা হচ্ছে। কিন্তু সরকারিভাবে শতক প্রতি মাত্র ১৮ হাজার ৫শ টাকা নির্ধরণ করা হয়েছে, যা বাজার তুলনায়
কয়েকগুণ কম। বর্তমানে এ জায়গা শতক প্রতি বিক্র হচ্ছে ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা। আমরা জমির মূল্য নির্ধরণের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে একটি দরখাস্ত করলেও তার কোনো সূরাহা হয়নি। আমরা বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে জমির নায্য পেতে সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। উল্লেখ্য, নড়াইলে ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ নির্মানের জন্য ২০১৫-১৬ অর্থ বছরে একনেকে ৩শ ৬৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প অনুমোদনের ৪ বছর পর প্রকৌশলী খান হাতেম আলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজটি নির্মানে জমি নির্ধরণ করলেও স্থানীয় জমির মালিকদের জমির মূল্য নিয়ে বিরোধিতার কারণে কাজটি পিছিয়ে যায়। গত ৬ আগস্ট জেলা প্রশাসকের পক্ষ থেকে মালিবাগ এলাকায় ৮একর জমির কাগজপত্র ও জমি হস্তান্তর করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোঃ ফকরুল হাসান বলেন, প্রকৌশলী হাতেম
আলী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধিগ্রহনভূক্ত জমির মালিকদের জমির মূল্য পূনঃনির্ধারণের দাবির প্রেক্ষিতে ৩সদস্য একটি কমিটি নির্ধারণ করা হয়। কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন দিয়েছে। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ২০১৭-১৮ সালের পর ওই মৌজার রেট বাড়েনি। জমি অধিগ্রহনের জন্য ৪কোটি ৬৩ লাখ ৩৫ হাজার টাকা বরাদ্দ এসেছে। জমির মালিকদের জমির ক্ষতিপূরণ এখনও দেওয়া হয়নি। তবে কাজ শুরু হতে কোনো বাঁধা নেই। সম্প্রতি ডিজিটাল সার্ভে হয়েছে। খুব
শীগ্রই সয়েল টেস্ট হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমকি পর্যায়ে এ প্রকল্প কাজের মধ্যে রয়েছে ভূমি অধিগ্রহন, বহুতল বিশিষ্ট প্রশাসনিক ও একাডেমিক ভবন, ৫শ সিটের করে ১টি ছাত্র ও ১টি ছাত্রী হোষ্টেল, প্রিন্সিপ্যাল ও ষ্টাফ কোয়ার্র্টার, একাধিক ল্যাবরেটরি, ক্লাস রুম ও অফিস কক্ষের চেয়ার-টেবিল, আসবাবপত্র,
হোষ্টেল ফার্নিচার, ডেকোরেশন, গাড়ী, মসজিদ, অভ্যন্তরীন রাস্তা ও সিমানা প্রাচীর ইত্যাদি। প্রথমাবস্থায় ৪টি বিভাগ নিয়ে কলেজটি চালু হবে। বিভাগগুলি হলো সিভিল, ম্যাকানিক্যাল, ইলেকট্রিক এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিয়ারিং এবং সফট্ওয়ার ইঞ্জিয়ারিং। ২০২১-২২ অর্থ বছরে এ কলেজটির কাজ শেষ হবার কথা। ###
খন্দকার সাইফুল
নড়াইল
২৫/১১/২০
০১৭২৪৩২৬০৮৫