দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের বহুল আলোচিত হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) চাঞ্চল্যকর ২ শিক্ষার্থীকে হত্যা মামলার অন্যতম আসামী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চনকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন বিচারক।
বৃহস্পতিবার দিনাজপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী আদালতের-১ (সদর) এর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মনিরুজ্জামান সরকার এই আদেশ দেন।
দিনাজপুরের কোট পুলিশ পরিদর্শক মনিরুজ্জামান জানান, দুপুরে তিনি আদালতে আত্মসমর্পন করে জামিনের আবেদন করেন। পরে বিচারক তাকে জামিন না দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন। পরে বিকেলে কড়া পুলিশ প্রহরায় তাকে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালের ১৬ এপ্রিল দিনাজপুর হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের নবীনবরণ অনুষ্ঠান চলাকালে রাত ৮ টার দিকে ছাত্রলীগের একটি গ্রুপ সশস্ত্র হামলা চালায়। সংঘর্ষে বিবিএ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জাকারিয়া শহীদ নুর হোসেন হলে ও কৃষি বিভাগের ছাত্র মাহমুদুল হাসান মিল্টন দিনাজপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।
নিহত জাকারিয়া দিনাজপুর শহরের গুড়গোলা এলাকার মোস্তাকের ছেলে ও মাহমুদুল হাসান মিল্টন নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার ভেরভেরী গ্রামের মাহবুবুর রহমানের ছেলে। খুনের ঘটনায় নিহতদের পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলায় ৪১ জনকে আসামি করা হয়। চলতি বছরের জানুয়ারী মাসে দুই নিহত ছাত্রলীগ নেতার জাকারিয়া ও মাহমুদুল হাসান মিল্টনের বাবা-মা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
ছেলে হারা দুই পরিবারের বাবা-মাকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থনৈতিকভাবে সহায়তাসহ সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দেন। ২০২০ সালের ১১ জুন দিনাজপুর শহরের বাহাদুর বাজার এলাকায় নিজ মালিকানাধীন হোটেল আফিয়া ইন্টারন্যাশনাল থেকে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি আবু ইবনে রজব ও শহরের সুইহারী আশ্রম পাড়ার নিজ বাসা থেকে দিনাজপুর সরকারী কলেজ ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক সাব্বির আহমেদ সুজনকে আটক করা হয়।
এরপর থেকে আওয়ামী লীগ নেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ কাঞ্চন পলাতক ছিলেন। একই বছরের ২৯ জুলাই পুলিশের গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইডি) পরিদর্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা রমজান আলী আদালতে ২৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশীট পেশ করেন।