নড়াইল প্রতিনিধি খন্দকার সাইফুল:
নড়াইলের লোহাগড়ায় পিয়ারলেস ডিজিটাল ডায়াগনিষ্ট সেন্টারের মাঠকর্মী সুপ্তী বেগমের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারের অভিযোগ সুপ্তী বেগমকে ষড়যন্ত্র মুলক হত্যা করা হয়েছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে. লোহাগড়ার লক্ষীপাশার চৌরাস্তা এলাকায় ঈগল কাউন্টারের পূর্বপাশের্ব একটি ঘর ভাড়া নিয়ে পিয়ারলেস ডিজিটাল ডায়াগনিষ্ট সেন্টার নামে একটি প্রতিষ্ঠান ৮/১০ মাস ধরে রোগীদের বিভিন্ন প্রকার টেষ্ট করার নামে ব্যাবসা করে আসছিল। এ ডায়াগনিষ্ট সেন্টারে পৌরসভার রাজুপুর গ্রামের বাবুল শেখের মেয়ে ২ সন্তানের জননী সুপ্তী বেগম (২২)কে মাঠ কর্মী হিসাবে নিয়োগ দেয়। মাঠকর্মী সুপ্তী বেগমের কাজ বিভিন্ন এলাকায় ডায়াগনিষ্ট সেন্টারের বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে প্রচার করা । গত বুধবার ওই ডায়াগনিষ্ট সেন্টারের ম্যানেজার পিন্টু বিশ্বাসসহ কর্মচারীরা ও মাঠকর্মী সুপ্তী বেগমকে নিয়ে গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী এলাকায় যায়।
নিহত সুপ্তী বেগমের পিতা বাবুল শেখ অভিযোগ করে বলেন, আমাকে ওই প্রতিষ্ঠানের মানেজার পিন্টু বিশ্বাস বুধবার সন্ধ্যার পর ফোন করে বলেন, আপনার মেয়ে সুপ্তী বেগম কাশিয়ানী এলাকায় মোটরসাইকেল এক্সিডেন্ট করেছে কোন সমস্যা নাই । আমরা তাকে নিয়ে লোহাগড়া হাসপাতালে আসতেছি । আমি ইশার নামাজের সময় লোহাগড়া হাসপাতালে গেলে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার পিন্টু বিশ্বাস বিভিন্ন এলোমেলো কথা বললে আমার সন্দেহ হয়। এক পর্যায়ে প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজারসহ কর্মচারীরা আমার মেয়েকে রেখে পালিয়ে যায়। তখন আমার মেয়ে সুপ্তীর শারিরিক অবস্থা খারাফ হওয়ায় খুলনা নেয়ার পুর্বেই তার মৃত্যু হয়। আমার মেয়েকে ওই প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার ও কর্মচারীরা যোগসাজসে যড়যন্ত্র মুলকভাবে হত্যা করেছে। আমি এ হত্যার বিচার চাই।
অভিযুক্ত ওই ডায়াগনিষ্ট সেন্টারের মালিক মুকুল চন্দ্র বিশ্বাস ও ম্যানেজার পিন্টু বিশ্বাসের ০১৯৩১৪৩৩৭৩৩ মোবাঃ নং যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে বন্দ্ব পাওয়া যায়। তবে এ ঘটনার পর ওই প্রতিষ্ঠান এখন তালা লাগিয়ে ম্যানেজার ও কর্মচারীরা গা ঢাকা দিয়েছে।
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান বলেন, নিহত সুপ্তী বেগমের চোখে আঘাতের চিহ্ন আছে। ময়না তদন্ত রিপোর্ট পাওয়া গেলে ব্যাবস্থা গ্রহন করা হবে। তবে আমার থানার এস আই মারুফ হোসেনকে দায়িত্ব দিয়েছি। বিষয়টা সম্পুর্ন তদন্ত করার জন্য।