পিরোজপুর প্রতিনিধি:
ইন্দুরকানীতে দুই শতাধিক বাবুই পাখির ছানা মেরে ফেলেছে কৃষক বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি শতাধিক বাবুই পাখির বাসাও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
শুধু মাত্র ধান খেতে পারে এমন সম্ভাবনায় এসব পাখির বাসা ভেঙে পাখির ছানাগুলো নির্মম ভাবে মেরে ফেলেছেন তিন কৃষক বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। উপজেলার দক্ষিন ভবানিপুরে এমন নির্মম ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার শেষ বিকালে। দক্ষিণ ভবানিপুরের লুৎফর মোল্লা ও তাদের কৃষি কাজের সহযোগি নাজিরপুরের শুনিল এবং সুভাষ অন্তত শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ভাঙেন। অনেক পাখির বাসা ভেঙে খালের পানিতেও ফেলে দিয়েছেন এই কৃষকেরা। স্থানীয়রা জানান, লুৎফর মোল্লা তিন ভাই মিলে ধান রোপন করেছেন। সে জমির ধান খেয়ে ফেলতে পারে এমন সম্ভাবনায় তারা দুটি তাল গাছের শতাধিক বাবুই পাখির বাসা ভেঙে ফেলেছেন। কারণ এখনো তাদের খেতের ধান পরিপক্ক হয় নাই। যে বাসা গুলোতে অনেক পাখির ছানা ও ডিম ছিল। রাস্তা, ডোবা, খাল ও ঝোপে ঝাড়ের এ পাখির ছানা গুলোকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দিয়েছেন তারা। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত লুৎফর মোল্লার বড় ভাই ঘোষেরহাট বাজারের খুচরা সার ডিলার হেমায়েত মোল্লা জানান, বিএডিসির প্রকল্পে ৫০ বিঘারও বেশি জমিতে আমরা তিন ভাই বোরো ধান রোপন করেছি। যার মধ্য থেকে বাবুই পাখিতে ২৫ ভাগেরও বেশি জমির ধান ইতোমধ্যে নষ্ট করে ফেলেছে। তাই আমার ছোট ভাই লুৎফর মোল্লা ও আমাদের দুই জন শ্রমিক কিছু পাখির বাসা ভেঙেছে। তারা কোন পাখি মারে নাই। হয়তো ওই বাসাগুলোতে কয়েকটা ডিম থাকতে পারে। বাবুই পাখি মারা এতোটা সহজ নয়। এ বিষয়ে ইন্দুরকানীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হোসাইন মুহাম্মদ আল মুজাহিদ জানান, আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।